ইথিওপিয়ার ওরোমো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলায় আমহারা নামের ক্ষুদে নৃগোষ্ঠীর শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ওরোমো লিবারেশন আর্মি (ওএলএ) এই হামলার জন্য দায়ী বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তারা এ হামলা দায় অস্বীকার করেছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরও দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান- এ হামলায় দুইশোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও হতাহতের সংখ্যাসহ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আদ্দিস আবাবায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেনি আলজাজিরা। জাতিগত বিরোধ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশটিতে লেগেই আছে। উত্তর তাইগ্রে অঞ্চলে ২০২০ সালে শুরু হওয়ার লড়াই গত বছর আফার ও আমহারার প্রতিবেশী অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে।
গিম্বি কাউন্টির বাসিন্দা আব্দুল-সইদ তাহির শনিবারের হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার পর এপি নিউজকে বলেন, ‘আমি ২৩০টি মরদেহ দেখেছি। আমার জীবনে এতো নিরীহ মানুষকে একসঙ্গে হত্যা করার ঘটনা দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের গণকবর দিচ্ছি এবং এখনো মরদেহ সংগ্রহ করছি।’ ফেডারেল আর্মি ইউনিট এখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে তারা চলে গেলে আরও হামলা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শাম্বেল নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্থানীয় আমহারা সম্প্রদায় এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় ৩০ বছর আগে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা আমহারা সম্প্রদায়ের মানুষকে এখন ‘মুরগির মতো মেরে ফেলা হচ্ছে’।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী আবদু হাসান বলেন, ‘আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ রেহাই পায়নি। আমি শুনেছি তিনশ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে দুটি গ্রামে আরও বেশি মানুষ নিহত হতে পারে’।