৬ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহে পাঁচ, সিরাজগঞ্জে দুই, শেরপুর ও জামালপুরে একজন করে মারা গেছে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে বৃষ্টির সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহে মাছ ধরতে গিয়ে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে জেলার সদর ও নান্দাইল উপজেলায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার দড়ি কুষ্টিয়া ইউনিয়নের দড়ি কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত হাসেন আলী মন্ডলের ছেলে আবু বাক্কার (৪০) ও একই গ্রামের পঁচা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০), নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামের শহীদুলাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১) ও বিলাল হোসেনের ছেলে শাওন (৮)।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, গাঙ্গাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. গোলাপ হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় ওই তিন শিশু একসঙ্গে মাছ ধরতে যায়। দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তারা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও চারজন। এর মধ্যে আহত দু’জন ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ই জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে নদীপথে নৌকায় করে কাওয়াকোলা যাবার সময় বজ্রপাতে একজন নিহত হন এবং দুইজন আহত হন। নিহত ব্যক্তি শহরের ধানবান্ধি এলাকার দরবেশ মুন্সির ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মুন্সি (৪৫)। অপরদিকে, সয়দাবাদ ইউনিয়নের চলমান রেল সেতু প্রকল্পে কাজ করার সময় মো. নাসির (১৭) নামের এক রেলশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বজ্রপাতে শাকিল নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শেরপুরের নকলায় বজ্রপাতে মারা গেছে একজন।