চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৮৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭২৩ জনে।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ২৯২ জন মারা গেছেন।
এছাড়া দৈনির প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ১৪০ জন এবং মারা গেছেন ২৭৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৮৩ জন মারা গেছেন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৬ হাজার ১৮৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪০৩ জনের।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৪২৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৮১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১০ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ২২ হাজার ৬১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৬২ জন। অন্যদিকে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪০৪ জনের।
উত্তর কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮১০ জন। অন্যদিকে একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৬৮ জন এবং মারা গেছেন ২ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ১৩৭ জনের।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২০৪ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৬০ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। পুরো বিশ্ব জুড়ে করোনার কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। টানা দুই বছর একেবারে স্থবির ছিলো বিশ্ব।