তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি আমাদের দেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে হবে। মানবিকতার চর্চা করতে হবে, মানবিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। স্বেচ্ছা রক্তদাতারা সেই মানবিকতারই চর্চা করছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জেনেছি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। মানবিক এমন কাজের জন্যে প্রচার ও প্রশংসারও প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এতে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হবে, উৎসাহিত হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালে ১০ জুন ১৯৭২ দেশে প্রথম স্বেচ্ছা রক্তদানের সূচনা হয়। এদিন বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরবর্তীকালে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম নিজে রক্তদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম স্বেচ্ছা রক্তদান করেন।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালনে একাধিক বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে কোয়ান্টাম। এর মধ্যে প্রেসক্লাব চত্বরে পদযাত্রাসহ আয়োজিত হয় বিশেষ মোবাইল ব্লাড ক্যাম্প।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক মোটিভেশন এম. রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে প্রায় তিনশ’ রক্তদাতাকে সম্মাননা স্মারক, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছা ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলক নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত কোয়ান্টাম ১৪ লাখ ব্যাগ বা ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে। আঠারো থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত একজন সুস্থ মানুষ রক্ত দেয়ার উপযুক্ত থাকেন। আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা প্রায় ৮-১০ লাখ ইউনিট। দেশের মোট চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ পূরণ করছে কোয়ান্টাম।