রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

পদ্মাসেতুতে বছরে টোল দেড় হাজার কোটি টাকা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ১৩, ২০২২

পদ্মাসেতু থেকে মাসে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বছরের হিসেবে তা হবে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

পদ্মাসেতু তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় হয়েছে মোট ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেতু থেকে আদায়কৃত টোল দিয়ে বছর হিসেবে শোধ করা হবে ঋণ। এছাড়াও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় খরচও আসবে আদায়কৃত টোল থেকে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। আগামী ৩৫ বছরে সরকারকে সুদাসলে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধ, সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, নদী শাসন এবং আদায়কৃত টোলের ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ অর্থ পরিশোধ করার জন্য টাকা প্রয়োজন। এসব টাকা সেতুতে চলাচলকারী যানবাহনের টোল থেকে ওঠানো হবে।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মিত। এর পুরোটাই সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেছে। প্রকল্প সমাপ্তির পর বার্ষিক ১ শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া নকশা প্রণয়নের সময় নেওয়া ২১১ কোটি টাকার বিপরীতে ৩৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৫শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বাঙালি জাতির স্বপ্নের স্থাপনা পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু চালু হলে আশপাশের জেলাগুলো আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অপরাপর জেলাসমূহে কৃষির উন্নয়ন হবে, শিল্পের উন্নয়ন হবে, শিক্ষার উন্নয়ন হবে, হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

এছাড়া বিপুল সম্ভবনা রয়েছে পর্যটন শিল্পে। সরাসরি ঢাকার সাথে যুক্ত হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রবন্দর মোংলা। এসব কারণে সেতু দিয়ে বাড়বে যানবাহন চলাচলও। ফলে সরকার যে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা আদায়ে সমস্যা হবে না।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোটরসাইকেলের টোল ১০০ টাকা, বড় বাসের টোল ২ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি ধরনের বাসের টোল ২ হাজার টাকা, কার ও জিপের ৭৫০ টাকা, চার এক্সেল টেইলারের ৬ হাজার টাকা, মাইক্রোবাস ১৩০০ টাকা এবং মিনিবাসের (৩১ সিট বা তার কম) টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০০ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (সচিব) মো. মনজুর জানান, আমরা সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছি। সুদসহ সরকারকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে যা টোল আদায় থেকে আসবে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ