আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্যায়ের কাছে কখনও মাথানত করিনি। কারও কাছে প্রাণভিক্ষাও চাইনি। ১/১১ সেনা সমর্থিত ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় মুক্তি দিতে।
শনিবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্ত দিবস উপলক্ষে গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় সংঘবদ্ধ থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।
তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ‘৮৩ সালে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত আমাকে অনেকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কখনও কারও কাছে মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। পরিবার, বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি আমি।আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে।
প্রথমে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতারা, পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির মেয়র, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতারা এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।
দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এই দিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন তিনি।