রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

কুড়িগ্রামে পটলের কেজি ৭ টাকা!

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ৮, ২০২২

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এ মৌসমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে পটলের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদিত পটল নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছে চাষিরা।

এ অবস্থায় বৃষ্টিতে পটলের গাছ মরে যাওয়াসহ বাজারে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটলের দাম অনেক কমেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটলের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। বর্তমানে কৃষকরা পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। এদিকে শুধু সদর উপজেলায় পটলের আবাদ হয়েছে ৬২ হেক্টর জমিতে।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পটল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে সবমিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রতি বিঘা জমির উৎপাদিত পটল ৯০-১লাখ টাকা বিক্রির আশা ছিলো তাদের। ভারি বৃষ্টি ও আমদানি বেশি থাকায় কারণে পটলের দাম পাচ্ছে না চাষিরা। প্রতি মণ পটল বর্তমানে বাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের পটল চাষী নুর ইসলাম বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করছি প্রথমের দিকে পটলের খুবই ভালো দাম পেয়েছি। এখন আর ভালো দাম পাচ্ছি না। আগে তো এখানকার পটল দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেত, এখন আর যাচ্ছে না। বর্তমানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি মন পটল বিক্রি করছি। আবার বৃষ্টির কারনে পটলের গাছও মরে যাচ্ছে।

ওই ইউনিয়নেন সিতাইঝাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ মরে যাচ্ছে, খেতে পানি জমেছে। বর্তমানে পটল বাইরের জেলাতে না যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমেছে। না বিক্রি করে তো কোন লাভ নাই, যা পাচ্ছি তাই লাভ, এতো পটল কি করবো আমরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রশিদ জানান, যে সময় বাজারে কোন সবজির উৎপাদন বেশি হয় ঠিক সে সময়ে দামটা একটু কমে যায়। বর্তমানে বাজারে ৭-৮ টাকা প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন চাষিরা। কৃষকরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে যদি ন্যায মূল্য না পায় তা তো অবশ্যই হতাশার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ