শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

নবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ৮, ২০২২

ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল রাসূল (সা) ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহুকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (৮ জুন) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করে। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বের হয়। কয়েকটি সড়ক ঘুরে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল রাসূল সা. কে নিয়ে কটূক্তি করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত দিয়েছে। একজন মুসলমানদের কাছে প্রিয়নবী সা. এর সম্মান নিজের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। ফলে কোনভাবেই রাসূল সা. এর সামান্যতম অসম্মান আমরা বিশ্বের মুসলমানেরা বরদাশত করতে পারিনা। আমরা ঘৃণার সাথে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকার শুধু বিশ্বের জন্য নয় ভারতের জন্যও হুমকি স্বরূপ। রাসুল সা. এর অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানালেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো প্রতিবাদ না করায় মুসলিম উম্মাহর অংশ হিসেবে আমরা চরম ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী জানাই, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রাসুল সা. এর অবমাননার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

অন্যদিকে রাজধানীর মহাখালী রেল গেইট এলাকায় মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। টাংগাইল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এই কর্মসূচি।

রেজাউল করিম বলেন, বিজেপি সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মুসলিম দেশগুলো অতীতের নিরবতা ভেঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হওয়া স্বত্তেও ক্ষমতাসীন সরকার এই ঘটনার কোন নিন্দা না করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগ-অনুভূতি এবং বিশ্ব নবী (সা.) ও তার পরিবারের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ