যুক্তরাজ্যে সোমবার (০৬ই জুন) নতুন করে আরও ৭৭ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩০২ জনে দাঁড়িয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৭৩ জনই ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। এছাড়া স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে দুই জন করে চার জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ইউকেএইচএসএ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫ই জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে নিশ্চিতভাবে মাংকিপক্ষের আক্রান্তের সংখ্যা ৩০২। ইংল্যান্ডে ২৮৭, স্কটল্যান্ডে ১০, উত্তর আয়ারল্যান্ডে দুই এবং ওয়েলসে তিন জনের এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নাম শুনে বানরের কথা মনে হলেও আসছে মাংকিপক্স ভাইরাসটির সঙ্গে সম্পর্ক মূলত ইঁদুরের। ভাইরাসটির প্রাকৃতিক আবাসভূমি পশ্চিম আফ্রিকা এবং রেইনফরেস্টে বাস করে এমন কেউ হয়তো আক্রান্ত ইঁদুরের সংক্রমণে এলে অসুখটি ছড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলে হাজারো মানুষকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। তবে আফ্রিকার বাইরে ইউরোপ, আমেরিকায় কিছু দিন আগে পর্যন্তও এর প্রাদুর্ভাবের কথা শোনা যায়নি। এখন যাদের মাংকিপক্স হচ্ছে তারা কোথা থেকে সংক্রমিত হচ্ছে – তাও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি আফ্রিকার বাইরে প্রথম মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। তালিকায় আছে স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলোও। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই সংক্রমণ অস্বাভাবিক। কারণ এগুলো এমন দেশে ঘটছে যেগুলো এ ভাইরাসটির স্বাভাবিক আবাসস্থল নয়।