গ্যাসের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আবাসিকে গ্যাসের এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। চলতি জুন মাস থেকেই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করেন। অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
আবু ফারুক বলেন, আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
তিনি জানান, সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ল গ্যাসের দাম।
গত ২১ মার্চ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর বিপরীতে গণশুনানি করে বিইআরসি।
ওই শুনানিতে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ, অর্থাৎ এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করার বিপরীতে দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলার ট্যারিফ ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করে বিইআরসি।
দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গত জানুয়ারিতে গড়ে ১১৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। এতে এক চুলায় ২ হাজার ও দুই চুলায় ২ হাজার ১০০ টাকা করার দাবি করা হয়েছিল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল ২১ মার্চ শুনানিতে বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১১৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। দুর্বল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হবে না। সবার আগে জনগণ।