পর্যাপ্ত মজুত এবং রাষ্ট্র নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে স্থানীয় পর্যায়ে দাম কম থাকায় আপাতত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা নেই ভারতের। দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারি সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
দ্য ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৪ মে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এর কয়েকদিন আগেই চলতি বছর রেকর্ড ১০ মিলিয়ন টন চালানের পূর্বাভাস দেয় নয়াদিল্লি। পরে জানা যায়, প্রচণ্ড খরায় উৎপাদন ব্যহত এবং দেশের অভ্যন্তরে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ভোগ্যপণ্যটি রপ্তানি বন্ধ করে দেশটি।
এর কিছুদিন পরই চিনির রপ্তানি সীমিত করে ভারত। দেশটি থেকে ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি চিনি রপ্তানি করা যাবে না বলে জানানো হয়। সেই রেশ না কাটতেই চাউর হয় চাল রপ্তানির ক্ষেত্রেও তদানুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ভারতীয় সরকার। তবে আপাতত সেই পরিকল্পনা নেই তাদের।
নীতি নির্ধারণে জড়িত সরকারি পর্যায়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। রপ্তানি বা অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। দেশে খাদ্যপণ্যটির মূল্যও বাড়েনি।’
সূত্র জানান, এ পরিস্থিতিতে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনায় নেই। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিজের নাম জানাননি তিনি।
বিশ্বে চালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরে রেকর্ড ২১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্যটি রপ্তানি করেছে দেশটি। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ সবশেষ অর্থবছরে ভারতের চাল রপ্তানি বেড়েছে।