ঢাকার পুরো আকাশ ছেয়ে আছে কালো মেঘে। সকাল থেকেই দেখা নেই সূর্যের। হচ্ছে থেমে থেমে বৃষ্টি। কখনো গুঁড়িগুঁড়ি, কখনো মুষলধারে। তবে স্থায়ী হচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, বর্ষার বৃষ্টি থেমে থেমে হয়। সেটাই হচ্ছে। ঢাকার পুরো আকাশ মেঘে ঢেকে গেলেও ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ অন্যান্য স্থানে রোদ উঠেছে। তবে সেটাও ঢেকে যাবে, এই মেঘ সেদিকে গেলে। বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিনে বাড়বে। গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন কম।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা (৩ দিন) ও বৃষ্টিপাতের প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে ফরিদপুরে ৮৯ মিলিমিটার।