চলত বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে না। আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে এ পরীক্ষা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ কারণে দ্রুত সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে নির্দেশনা দেয় হয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালককে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে এ নির্দেশনা দেন।
জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করে প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে।
ডিপিই থেকে জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় জানুয়ারির মাঝামাঝি প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে কোনো কারণে পেব্রুয়ারিতেও হতে পারে এ পরীক্ষা।
এ সময়কে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে লিখিত পরীক্ষার। ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত থাকায় শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য বাড়ানো হবে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা। এরই মধ্যে ১৩ লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।