তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বরেছেন, বিএনপি নিজেরাকোনো আইন-আদালত মানেনা,সেই কারণেই তারা লাগামহীন ও দায়িত্বহীন কথা বলতে পারে।
আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে শঙ্করমঠ ও মিশনের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যশেষে ‘সরকার চাইলে বিএনপিনেত্রীকে বিদেশে নিতে পারবেন’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে হচ্ছে আইন-আদালত কোন কিছুরই দরকারনেই, সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পারে। তাহলে সরকারকে জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টের ভুমিকাও পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, আইনানুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কোন সুযোগ নেই।
বেগম জিয়ার একটু অসুখ হলেই বিদেশ কেন নিয়ে যেতে হবে এমন প্রশ্নরেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশে কোটি কোটি মানুষের চিকিৎসা হয়,দেশে বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবমেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ভালো হাসপাতাল আছে, যেখানে অনেক ভাল চিকিৎসা হয়, এবং অন্যদেশ থেকেও অনেকে এখানে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে আসে।বেগম খালেদা জিয়ার পেটে-হাঁটুতে বা অন্যকোন সমস্যা হলেই বিদেশ নিয়ে যাবার জন্য তারা জিকির তোলেন কেন সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন।
এভাবে বিদেশ নিয়ে যাবার ধুঁয়া তোলার মাধ্যমে তারা আমাদের চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলোকে অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন, বলেন চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
এরআগে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্য। আজকে যারা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, ধর্মীয় বিভাজন করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তারা শুধু সমাজের শত্রু নয়, রাষ্ট্রের শত্রু। কারণ এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্য।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার এই রাষ্ট্র সবার, সবাই সবার আনন্দ উৎসবে শামিল হন, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। এই চেতনাই আবহমান বাঙালি, বাংলা এবং বাংলাদেশ ধারণ করে। তাই ছোটখাট বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধনে কখনো বিভেদ তৈরী করতে পারেনি এবং পারবেনা।
শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ পরমানন্দ মহারাজ। বক্তব্য রাখেন বিমল কান্তি দাশ, কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ, দুলাল দে প্রমুখ।