বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরেই অনুশীলনে মাঠে নেমে পড়েন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সাত তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তানভির ইসলামকে নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়লেন নতুন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
সেখান থেকে তিনজন (নাজমুল শান্ত, সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বি) জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে স্কোয়াডে। ভাবা হচ্ছিলো, এই তিনজনই শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলবেন। সেটা এমনিই চিন্তা করা হয়নি। ওপেনার লিটন দাস, ব্যাকআপ সৌম্য সরকার ও তিন নম্বরে খেলা সাকিব আল হাসান নেই এবার, মুশফিককেও রাখা হয়নি।
কাজেই ১৬ জনের দলে যে ব্যাটাররা আছেন সেখান থেকে এমনিতেই নাইম শেখের সঙ্গে অন্তত আরও তিনজনকে বেছে নিতে হবে। তবেই না ব্যাটিং অর্ডারে অন্তত সাতজন ব্যাটার হবে। তা করতে গেলে সাধারণ সমীকরণে শান্ত, সাইফ ও ইয়াসির রাব্বিকে খেলাতে হয়। এর মধ্যে শান্ত আগে তিন টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সাইফ টেস্ট খেললেও সাদা বলে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপাননি এখনও। রাব্বির কোনো ফরম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি।
কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে ঐ তিন তরুণই যে দলে থাকবেন, তা জোর দিয়ে বলা কঠিন। অনুশীলনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে বাঁহাতি নাইম শেখের সঙ্গে ডানহাতি সাইফ হাসানকে দিয়ে ইনিংসের সূচনা করানো হবে। তাহলে সাইফের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হবে। আর নাজমুল শান্তর সম্ভাব্য ব্যাটিং পজিশন তিন। তাকে ওয়ান ডাউন ধরেই হয়তো দল সাজানো হবে।
এখন পরের ব্যাটিং পজিশনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই সম্ভাব্য সেরা অপশন। এরপরই ভাবা হচ্ছিল ইয়াসির রাব্বির কথা। চট্টগ্রামের এ তরুণ উইলোবাজ হাত খুলে খেলতে পারেন। বিগ হিট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। মিডল অর্ডারে ক্লিন হিটার হিসেবে তিনিই হতে পারেন প্রথম পছন্দ।
কিন্তু ইয়াসির রাব্বি খেললে আবার একজন বোলার কমে যায়। তাই তার অভিষেকের সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। সেখানে শামীম পাটোয়ারীকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। শামিম পাটোয়ারী পাঁচ থেকে সাত নম্বরে খেলতে পারেন। তারও হাত খুলে খেলার সামর্থ্য আছে। পাশাপাশি অফস্পিন বোলিংটাও করেন।
এর বাইরে আর কারও অভিষেকের সম্ভাবনা খুব কম। যদি থার্ড পেসার খেলানো হয়, তাহলে অবধারিতভাবেই শরিফুলকে নেওয়া হবে। এই তরুণ বাঁহাতিই হবেন মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গী।
অন্যদিকে তিন পেসারের বদলে তিন স্পিনার ফর্মুলায় আগালেও নতুন কারও দলে ঢোকার সুযোগ নেই। তখন নাসুম আর মেহেদির সঙ্গে হয়তো লেগি আমিনুল বিপ্লবকে দেখা যাবে। বিপ্লব এরই মধ্যে সাত টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন।
তার মানে সব কিছু মিলে অভিষেকের সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে সাইফ হাসানের। সঙ্গে ইয়াসির রাব্বিও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করে ফেলতে পারেন।