গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে গত ১২ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ শনিবার দুপুর থেকে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার এবং বর্তমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৫২ দশমিক ৪০ মিটার দিয়ে।
তবে, লালমনিরহাটে ধরলা, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ ২৬টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার বেশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ শনিবার লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও নদীর পাড়ের অনেক বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। পলি জমে তিস্তার বুক পুরু হয়ে উঠেছে এ কারণে অল্প পানিতে নদীর পাড় উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে যাচ্ছে।
তিস্তা নদী খনন করে একটি চ্যানেলের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
এ দিকে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দী এসব বাড়িঘরে হাঁটু পানি উঠেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসল ও রাস্তা-ঘাট।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক আকলাস মিয়া বলেন, বালু দিয়ে ভরাট হয়ে তিস্তা নদীর পেট মুল ভূখণ্ডের সমান হয়েছে। এ কারণে সামান্য পানিতেও তিস্তা নদীর পানি উপচে গিয়ে নদী পাড়ের গ্রামগুলো প্লাবিত করে।
গত দুই দিন ধরে তাদের বাড়িতে পানি উঠেছে, কিন্তু পানি নামছে না বলে জানান তিনি।
আদিতমারী উপজেলার চৌরাহা গ্রামের কৃষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি খুব বেশি না বাড়লেও উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় তিস্তার পানি বেড়ে যায়।
গ্রামে রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।