রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান সেতুমন্ত্রীর : বৈঠক রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০২১

পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। এদিকে, বাস না চলায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ফলে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান। সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর রোববার বিআরটিএর ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল বাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ায় অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস এবং টোলহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর এই সেতুর টোলহার এবার বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হবার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হয়েছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তি ও চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। গাড়ি না থাকায় বাড়তি ভাড়া গুনে সিএনজি, মোটরসাইকেল, রিকশায় তারা নিজ নিজে কেন্দ্রে যাচ্ছেন। পরিবহন সংকটে অনেকে আবার হেঁটেই কেন্দ্রে পৌঁছান।

এদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনালে প্রবেশ করলেও ঢাকা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। কাউন্টারগুলোর সামনে ও মূল সড়কে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো বাসেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না।

বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সভা করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

অতিরিক্ত দামে ডিজেল কিনে পরিবহন চালাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মালিকরা। সেক্ষেত্রে ভাড়া সমন্বয়ের দাবি ওঠে। ডিজেলের দাম কমানো, নতুবা ভাড়া সমন্বয়ের দাবি ওঠে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। দাবি পূরণ না হলে পরিবহন চালানো সম্ভব নয় বলে জানান তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ