সারাদেশে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ তৃতীয় দিনে ‘অপ্রয়োজনে’ বের হওয়ায় রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, দুপুর ১টা পর্যন্ত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর ৪৫ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘অপ্রয়োজনে’ বের হওয়ায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার আর ১৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া সূত্রাপুরে ১৬ জন, চকবাজারে ১৭ জন, লালবাগে ২২ জন, বংশালে ১৬ জন কামরাঙ্গীরচরে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানান, শাহবাগ থানা এলাকায় অপ্রয়োজনে বের হওয়ায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বিভাগ থেকেও গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। রমনা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আমেনা বেগম বলেন, “আমাদের মাঠের সদস্যরা ৫ জনকে থানায় নিয়ে এসেছে।”
লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫০ জন। দ্বিতীয় দিনে ‘অপ্রয়োজনে’ বাসা থেকে বের হওয়ায় ৩২০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ।
লকডাউনে জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সেনা সদস্য ও বিজিবি সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে ঢাকায় সক্রিয় আছে।
পুলিশ বলছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও যারা যৌক্তিক কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।
সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে রাখা হয়েছে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।