বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২১ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইনটিতে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া আইনটি অনুমোদন পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের সাজার পাশাপাশি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারী পরীক্ষার্থী, পরীক্ষক ও পরীক্ষা গ্রহণে যুক্তদের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খসড়া আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষায় অসদুপায় গ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ও উত্তরপত্রে জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরীক্ষায় কেউ বাধা দিলে এক বছরের কারাদণ্ড এবং পরীক্ষা গ্রহণকারী কোনো অনিয়ম করলে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সেইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও অভিযান চালিয়ে শাস্তি দেয়ার বিধান থাকছে খসড়া নতুন আইনে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন কার্যকর থাকা সরকারি কর্ম কমিশন আইনটি ১৯৭৭ সালে তৈরি। এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে শাস্তি সম্পর্কে বলা নেই। এতদিনে পরিস্থিতি বদলেছে।
খসড়া আইনের ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্ম কমিশনের একজন চেয়ারম্যান ও সর্বনিম্ন ছয় জন সদস্য থাকবেন। তবে কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১৫ এর বেশি হতে পারবে না।