উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বা কর্মসংস্থানের খোঁজে রাজধানী ঢাকায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে শহুরে চাপ। এর ফলে মারাত্মক হারে বাড়ছে শহরের তাপমাত্রাও, যার শিকার সাধারণ নগরবাসী। মারাত্মক শহুরে তাপের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর হিসেবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম উঠে এসেছে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায়।
‘গ্লোবাল আরবান পপুলেশন এক্সপোজার টু এক্সট্রিম হিট’ শিরোনামে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি সায়েন্সেন (পিএনএএস) জার্নাল।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৩ হাজার শহরের ইনফ্রারেড স্যাটেলাইট চিত্র এবং দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও আদ্রতার রিডিংগুলো নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়। ওই ফলাফলের সঙ্গে সময় ব্যবধানে শহরের জনসংখ্যাকেও গণনায় নেন গবেষকরা।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দিন হিসেবে ৫ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ এই চরম তাপ সহ্য করেছে।
দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে থাকা অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের সাংহাই এবং গুয়াংজু, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮০’র দশক থেকে তিনগুণ বেড়েছে মারাত্মক শহুরে তাপ। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক –চতুর্থাংশ এর শিকার হচ্ছে এই মারাত্মক শহুরে তাপের। বিজ্ঞানীরা এই উদ্বেগজনক প্রবণতাকে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সংমিশ্রণে রেখেছেন এবং এর সম্ভাব্য মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।