ঢাকার হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) হলি আর্টিজানে হামলার পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন এক বার্তায় এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশ যৌথভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা নিন্দা জানায় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
অ্যান্থনি ব্লিংকেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর প্লটের হোলি আর্টিজান বেকারি ও রেস্টুরেন্টে নারকীয় হামলায় চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় নাগরিক, একজন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। বাকি দু’জন হলেন বাংলাদেশি নাগরিক। জঙ্গিরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর রাতভর ওই বেকারিতে বেশ কয়েকজন অতিথি ও বেকারির কর্মচারীদের জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালিত হয়। জিম্মি থাকা অন্তত ৩৫ জনকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।