আম্পায়ার নাদির শাহ দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরা হলো না তার। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দিকে মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার।
নাদির শাহর মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা। জাহাঙ্গীর জানালেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নাদির শাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালের বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে নাদির শাহকে তার ধানমণ্ডিস্থ বাসায় নেওয়া হয়েছে। জুমার পর হবে জানাজা। বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট তাদের সঙ্গে আছেন।
দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন নাদির শাহ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচ পরিচালনা করার সময় মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধরা পড়ে কর্কট রোগ। তারপর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি মাঠের এই মানুষ। চলছিল চিকিৎসা। মাঝে সুস্থ হওয়ার বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, আবার আম্পারিংয়ে ফিরতে চান। তবে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে আর পেরে উঠলেন না তিনি। একেবারে বিদায় বলে দিলেন!
বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেন নাদির শাহ। এতে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। সঙ্গে ডায়াবেটিকের ওষুধও নিয়মিত চলছিল। ফলে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন চির হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি। শেষদিকে কারও সাহায্য ছাড়া চলাটাও কষ্ট হয়ে গেছিল নাদির শাহর জন্য। সারাদিন বিছানায় শুয়ে আর হুইলচেয়ারে বসে কাটছিল তার সময়।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে গত ২৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন নাদির শাহ। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না তার।
বগুড়ায় বাংলাদেশ-কেনিয়া ম্যাচ দিয়ে ২০০৬ সালে শুরু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আম্পায়ারিংয়ের পথচলা শুরু নাদির শাহের। ৬ বছরে ৩টি টোয়েন্টির পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন ৪০ ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। বড় ভাই জাহাঙ্গীরের মতো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে না পারলেও আশির দশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ছিলেন নাদির শাহ। একাধারে খেলেছেন ভিক্টোরিয়া, বিমান, আবাহনী, মোহামেডানের মতো ক্লাবের হয়ে।