ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বালুবোঝাই একটি ট্রলারের সাথে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, বালুবোঝাই ট্রলারটি আটক করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পানির নিচে আছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সদর উপজেলার লইছকা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিজয়নগরের চম্পকনগর থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পথে একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নৌকায় থাকা আঁখি আখতার নামের এক যাত্রী জানান, নৌকাটি বিজয়নগরের চম্পকনগর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় অন্তত ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে। পথে একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে নৌকাটি ডুবে যায়। তিনি সাঁতরে উঠতে পারলেও তার ছেলে, ভাসুরের ছেলে ও শাশুড়ির এখনও সন্ধান পাননি বলে জানান আঁখি আখতার।