প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ জন মারা গেছেন, যা ৫৩ দিন পর সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ জুন, সেদিন মারা যান ১১৫ জন। সবশেষ ১১৭ জনসহ করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৩৩৯ জনে।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩১৭ জনের। এর মাধ্যমে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জনে। মৃত্যু কমলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ও হার দুটোই বেড়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে রোববার ১৩৯, শনিবার ১২০, শুক্রবার ১৪৫, বৃহস্পতিবার ১৫৯, বুধবার ১৭২ ও মঙ্গলবার ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২শর নিচে নামা শুরু করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৯৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩১৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭৮৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৪০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৯, রাজশাহীতে ১০, খুলনায় ১১, বরিশালে ১, সিলেটে ১৩, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন।
নারী ও পুরুষের হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ এবং ৬৪ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন ৩ জন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৫৯০ জন এবং নারী ৮ হাজার ৮০৯ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৭৪ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন।