# শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম সুযোগটুকু নেব : শিক্ষা সচিব
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক আদেশে জানিয়েছে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নৈর্বাচনিক প্রত্যেক বিষয়ের যেকোনো দুটি ব্যবহারিক কার্যক্রমের খাতা তৈরি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। একইভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদেরও তাদের নৈর্বাচনিক বিষয়ের প্রতিটির পত্রের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে উল্লেখিত ব্যবহারিকের দুটি করে ব্যবহারিক খাতা (নোট বুক) তৈরি করে জমা দিতে হবে।
আদেশে বলা হয়, মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যে সব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে, সে সব বিষয়ে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে কি কি ব্যবহারিক করতে হবে তাও উল্লেখ করা আছে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেহেতু নৈর্বাচনিক বিষয়ের ব্যবহারিকের খাতা (নোট বুক) জমা নেয়া প্রয়োজন। যদি কোনো পরীক্ষার্থী ২০২১ সালের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রতিপত্রে দুটির বেশি ব্যবহারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে, তাহলে ঐ পরীক্ষার্থীও সেই ব্যবহারিক খাতা বা নোট বুক জমা দিতে পারবে। আদেশটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানাতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যসহ অন্যান্য গ্রুপ) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর নেওয়া হবে। আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। মহামারীর কারণে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানো যায়নি। ফলে মহামারীকালে কোনো পাবলিক পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত বছর মহামারীর আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবছরের পরীক্ষার বিষয়ে গত ১৫ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
এদিকে করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুই দফা ঘোষণা দিয়েও করোনার কারণে খোলা সম্ভব হয়নি। বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কবে থেকে খুলে দেয়া হবে সুনিদিষ্ট তারিখ বলেনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর কবে খুলে দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেছেন, সুনিদিষ্ট তারিখ বলেনি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যখনই অনুকূলে আসবে, প্রথম সেই সুযোগটুকু আমরা নেব।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোন স্তরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, এগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যখনই নিয়ন্ত্রণে আসবে তখন সরকারের গঠিত কারিগরি কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে চূড়ান্ত করব।