দেশে করোনায় একদিনে আরো ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি দাঁড়াল ২৪ হাজার ৭১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টয় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ১৪ টি। এতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২৪৮। এতে করে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এত গত একদিনে মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়ই কমেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।
এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটলে গত ১৫ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পরের এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটাতে মাত্র দশ দিন সময় নেয় করোনাভাইরাস। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল।
তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার এক মাস পর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। এর ১৫ দিন পর ২৬ জুন এই সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৪ জুলাই ১৫ হাজার ছাড়ায় মৃত্যু। মাত্র ছয় দিন পরে গত ৯ জুলাই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়ায়। গত ১৪ জুলাই এ সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর পাঁচ দিনের মাথায় ১৯ জুলাই মৃত্যু ছাড়ায় ১৮ হাজার। এর পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়ায়। ২৮ জুলাই মৃতের সংখ্যা ছাড়ায় ২০ হাজার। এর ঠিক পাঁচদিন পর ২ আগস্ট মোট মৃত্যু ২১ হাজার ছাড়ায়।
পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় ঢাকার আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে এরপরো করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সব গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিং মল বন্ধ করা হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন, বন্ধ হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদ উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৩ জুলাই শুরু হয় আবারো লকডাউন যা চলে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর তা এ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। ১১ তারিখ থেকে খুলে দেয়া হয় সকল বিধি নিষেধ।