রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত আরও পাঁচ জন মারা গেছেন। একই সময় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন। এছাড়া করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন দুই জন। বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে করোনা ইউনিটে এই ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পাবনার পাঁচ জন, রাজশাহীর চার, নাটোরের তিন, কুষ্টিয়ার দুই, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ার একজন করে রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং আট জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ছয় জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চার, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে এক, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে দুই এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন রোগী রয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই সকাল পর্যন্ত) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৪০ জনে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭২ জন। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৩ জন, নাটোরের ১৫, নওগাঁর চার, পাবনার পাঁচ, কুষ্টিয়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই জন করে ও মেহেরপুরের একজন রোগী রয়েছেন।
এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছেন ৪১৫ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ রোগী।
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৯২ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭২ জন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।