শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

অনিয়ম করলে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমা করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সতর্ক করে বলেছেন,  অনিয়ম করলে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমা করা হবে না এবং কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এইটুকু বলবো, ভালো যেমন আপনি পুরস্কার পাবেন আবার কেউ যদি খারাপ কিছু করে তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এই শৃঙ্খলাটা থাকতে হবে। সেটা অবশ্যই আমরা করবো। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করলে আপনারা আরও বেশি জানার সুযোগ পান। মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানতে পারেন। কিভাবে একেকটা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়, সেটা আপনারা সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন। আমি আশা করি সেই ভাবেই আপনারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিভাবে নেওয়া যায়, কিভাবে মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া যায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন যেন আমরা জাতির স্বপ্ন পূরণ করতে পারি, সেটাই আমরা চাই। ’

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে যে, তারা শাসক নন, সেবক..’ বঙ্গবন্ধু তার এই চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে। সংবিধানের ২১এর (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য। ’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আরেকটি উক্তির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজকে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। এটা জয়েরই ধারণা, জয়েরই চিন্তা। কারণ, ৮১ সালে এসে যখন বার বার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করি। তখন বার বার আমাকে গ্রেফতার-গৃহবন্দি করা হয়েছে। তখন বাবার বন্ধু আজিজ সাত্তার কাকা জয় ও পুতুলকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুল থেকেই জয় কম্পিউটার শিক্ষা নেয়। যখন ছুটিতে আসতো, কম্পিউটার নিয়ে আসতো। জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার শিখেছি। ৯১ সালে যখন পার্টির জন্য অনেক দামে কম্পিউটার কিনি, তখনই আমরা আলোচনা করি, কীভাবে দেশে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ