সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে ৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই নিয়ে গত দু’দিনে শুধু ঢাকা মহানগরীর ১৫টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত হল।
চট্টগ্রামে অপরিচ্ছন্ন, মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ও সনদ বিহীন নার্স থাকায় নগরীর পাঁচলাইশে পিপলস ও মিরর হাসপাতালের কার্যক্রম ১০ দিনসহ আরও ১৪৫ টি প্রতিষ্ঠান স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম রোধে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ক্লিনিকে জরিমানাসহ ৫৩ টি প্রতিষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে একাধিক অবৈধ ক্লিনিকের মালিক ও কর্মচারিরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। বরিশালে ১২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ময়মনসিংহে ৫৪টি, খুলনায় ১৪৯টি, রংপুরে ১৯টি এবং সিলেটে একটি প্রতিষ্ঠান স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, নাটোরের বড়াইগ্রামে জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আব্দুল করিম লোহানী নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় হাসপাতালটিও সিলগালা করে দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জয়পুরহাটে আনারকলি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, পদ্মা ক্লিনিক আংশিক সিলগালা ও সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।