শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২২

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবেই তিনি হাসপাতালে যান।

আজ বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা করে সাড়ে ৪টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। হাসপাতালের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে তিনি প্রায় ১৫ মিনিট গাড়ির ভেতরে বসেছিলেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের চেষ্টায় তাঁকে হাসপাতালের ভেতরে নেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁকে বাইরে বের করা হয়। এ সময়ও তাঁর গাড়ির আশপাশে শতাধিক নেতাকর্মীর ভিড়ে তাঁকে গাড়িতে তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশ প্রহরা ও দলীয় নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি প্রহরায় গুলশানের পথে রওনা করেন খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসা ফিরোজায় পৌঁছান রাত পৌনে ৮টায়। বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সর্বশেষ গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। বিএনপি তাকে বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায়ই থাকছেন। ২০২১ সালে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ছয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ