দেশব্যাপী উদ্যাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী। আজ শুক্রবার (১৯শে আগস্ট) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় গীতাযজ্ঞ। মন্ত্রপাঠ ও আরতির মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয় এসময়। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বের করা হয় বর্ণাঢ্য বিশাল শোভাযাত্রা। এছাড়া, জেলায় জেলায় রয়েছে শোভাযাত্রার বর্ণিল আয়োজন। ভক্তরা জানান, এই উৎসব মানুষের মাঝে স¤প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে।
সনাতন ধর্মানুসারে, পৃথিবী থেকে পাপাচার দূর করতে মহাবতার রূপে মর্ত্যে আসেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। দ্বাপর যুগে আবির্ভাব ঘটে তাঁর। অষ্টমী তিথিতে দেবকীর গর্ভে জন্ম হয় শ্রীকৃষ্ণের। তাই তাঁর জন্মতিথিকে জন্মাষ্টমী হিসেব উদযাপন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে নানা আচার-অনুষ্ঠানের। আজ শুক্রবার (১৯শে আগস্ট) সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গীতাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
ভক্তরা জানান, প্রার্থনায় স্বজন ও সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের শংকর মঠ ও মিশনের পূজারীরা। প্রকৃতি থেকে আট ধরণের উপাচার দিয়ে যে হোমাগ্নির আয়োজন করা হয়, তার মূল উদ্দেশ্য মানুষের ষড়রিপুর আহুতি দান।
এদিকে, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণ থেকে মহা শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরীসহ অন্যান্যরা। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া, ব্রা²ণবাড়িয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। কুমিলায় একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ছিলো শোভাযাত্রার আয়োজন।