জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।
জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মোনাজাত, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, সুপ্রিমকোর্টে রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগন, সুপ্রিমকোর্ট বার নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র এডভোকেট, সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৫ আগস্ট বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে নিষ্ঠুর, ঘৃণিত, বর্বর ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের একটি দিন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর নিচ্ছক হত্যাকান্ডের ঘটনা ছিল না। একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র ও জাতির অগ্রযাত্রাকে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ নৃশংস হত্যাকন্ড। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি এবং ঘাতক চক্র সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের এদিনে সপরিবারে হত্যা করে। এদিনটি বাঙালির জাতির শোকের দিন।
সেই রাতে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। ঘাতকদের বুলেটে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, ও তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু সুকান্ত বাবু, আরিফ খান রিন্টুসহ আরও অনেকে। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।