রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

আজ খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করছে না বিএনপি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ১৫, ২০২২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত বিষয়। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ট্রেজেডির দিনই খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন নিয়ে বিতর্ক চলছে কয়েক যুগ ধরে। আগে কেক কেটে আনন্দঘন পরিবেশে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো দিনটি পালন করলেও বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর থেকে দিনটিতে কেবল দোয়া মাহফিল পালন করে আসছিলো নেতা-কর্মীরা। তবে এবার ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কোন কর্মসূচি রাখেনি দলটি।

গতকাল রবিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী কাল ১৬ আগষ্ট তাঁর রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চলমান আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনাও করা হবে দোয়া মাহফিল থেকে।

বিএনপির দাবি, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে বাবা এস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদারের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। এস্কান্দার মজুমদারের আদিনিবাস ফেনী জেলায়। পরবর্তীতে তারা দিনাজপুর শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি ১৯৬০ সালে দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬০ সালেই কলেজপড়ুয়া বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাডেট অফিসার জিয়াউর রহমানের বিবাহ হয়। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম পুত্র তারেক রহমানের জন্ম হয়। ১৯৭০ সালের ১২ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় সন্তান আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেয়।

স্বামী তৎকালিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে শাহাদত বরণের পর এতিম দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের বাসাতেই সাধারণভাবে জীবন যাপন শুরু করেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ৮ জানুয়ারি সংবাদপত্রে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি শোষণহীন, দুর্নীতিমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল দেশ গঠনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। বিগত কিছুকাল যাবৎ আমি বিএনপির কার্যক্রম গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি। দলের ঐক্য ও সংহতি বিপন্ন হতে পারে, এমন মনে করে আমাকে দলের দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তাই দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি ও দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের গড়া দলে ঐক্য ও সংহতির স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া আমার লক্ষ্য।”

রাজনীতিতে আসার মাত্র ৯ বছরের মধ্যে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন বেগম খালেদা জিয়া। পরে আরো দুই দফা সরকার গঠন করেন তিনি। তবে সাবেক এই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে হৃদযন্ত্র, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, চোখ ও হাঁটুর সমস্যাসহ নানা বোগে আক্রান্ত। এরই মধ্যে তিনি করোনা, হার্ট ও লিভারের সমস্যায় বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে বাসায় আছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ