রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এবার মহাসড়কে চা শ্রমিকরা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০২২

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এবার মহাসড়কে নেমে এসেছেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা। মৌলভীবাজারের ৪টি ভ্যালির ৯২টি চা বাগানে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করায় বাগানগুলোতে চা-পাতা উত্তোলনসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) শনিবার সকাল ৯টা থেকে জেলার জুড়ি, লংলা, মনু ধলাই, বালিসিরা ৪টি ভ্যালির ৯২টি বাগানের শ্রমিকদের বাগানের পাশের মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। আজ রোববারও তা অব্যাহত রয়েছে।

মৌলভীবাজার কুলাউড়া মহা সড়কের পাশের রাজনগর ও মাথিউরা চা বাগানের শ্রমিকরা বেলা একটা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নেন। একই সাথে জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জে, জুড়ী ও বড়লেখাসহ সারা দেশের চা শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। এ সময় হাজার হাজার চা শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

চা বাগানের শ্রমিক নেতারা জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে জীবন চালানো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ১৯ মাস আগে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও মালিক পক্ষ নতুন চুক্তি নবায়নে গরিমসি করছে। চুক্তি নবায়ন ও ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তারা অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট পালনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন।

বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চায়ের মূল্য কমে যাওয়ায় বাগান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং ইত্যাদি বিড়ম্বনা নিয়ে চা উৎপাদনে আগের চেয়ে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শ্রমিক নেতারা জানান, মৌলভীবাজারের ৪টি ভ্যালির ৯২ বাগানে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। রাজনগর, মাথিউরা, ইটা, উত্তর ভাগ ও করিমপুর চা বাগানের শ্রমিকরাও একই দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক শ্রমিক নেতা পরেশ কালেন্দি বলেন, ধর্মঘটের কারনে চা পাতা উত্তোলন হয়ে গেছে। এতে মালিক পক্ষের ক্ষতি হবে। তারা মজুরি বাড়াতে গরিমসি করছে। চুক্তি নবায়নের ১৯ মাস চলে গেছে। তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই আমরা অনির্দষ্টকালের ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা দাবি আদায়ের জন্য মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে আরো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

এ নিয়ে বিভিন্ন বাগান ব্যবস্থাপকের সাথে কথা হলে ইটা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আদিল আহমদকে বলেন, চা উৎপাদনে মালিক পক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন। জ্বালানি তেল বিদ্যুত বিভ্রাটে উৎপাদন খরচ নাগালের বাহিরে চলে গেছে। বিশ্ব বাজারে চায়ের দামও কমে আসছে। এতে বাগান পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ