ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক হাসান মিজবাহের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ‘হেলথ মিনিস্ট্রি মিডিয়া উয়িং’ এর মুখপাত্র মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘গত ৯ আগস্ট, মঙ্গলবার, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিছু বিষয়ে পেশাগত প্রতিবেদন করতে গিয়ে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মিজবাহর ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হেলথ মিনিস্ট্রি মিডিয়া উয়িং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’
হাসান মিসবাহর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলা হয়, ‘হাসান মিজবাহ দেশের সুপরিচিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রগতিশীল ও সুপরিচিত জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মী। তিনি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুণগত দিকগুলো গণমাধ্যমে নিয়মিত তুলে ধরে বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন। এরকম একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে এই ধরনের অশালীন আচরণ কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। এ অবস্থায় হেলথ মিনিস্ট্রি মিডিয়া উয়িং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে এর সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং হাসান মিজবাহর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে এসপিএ ডায়গনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান মিজবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু মিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালটির বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা না করলেও বিএমডিসির নম্বর জালিয়াতি করে চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ একাধিক ভুয়া চিকিৎসকের কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে কর্মরত সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়। কামরাঙ্গীচর থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
পরে নিবন্ধন না থাকাসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ এসপিএ রিভার সাইড মেডিকেল সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে হাসপাতালটির মালিকসহ হামলায় জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।