রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো এবং এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। আজ রোববার (৭ই আগস্ট) ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এছাড়াও চীনে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা আরও এক শতাংশ বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এক চীন নীতিতে বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বৈঠক শেষে এসব জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
দুইদিনের সফরে শনিবার (৬ই আগস্ট) ঢাকায় এসে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ রোববার (৭ই আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোনারগাও হোটেলে প্রায় দেড় ঘন্টার এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিতিতে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এগুলো হলো, পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবেলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, পাঁচ বছর মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
বৈঠকের বিষয় নিয়ে পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে দেশের নানা দুর্ভোগের কথা চীনের কাছে তুলে ধরে তাদের ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চীন আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা ৯৭ শতাংশ থেকে আরো এক শতাংশ বাড়াবে বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জানান, তাইওয়ানসহ সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতির নানা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক চীন নীতিতে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দু’দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে চীনের উদ্দেশ ঢাকা ছাড়েন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।