বরিশালে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তৈল ফসলের অর্ন্তভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনসীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি র্শীষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর আয়োজনে সকালে নগরীর বান্দ রোডস্থ জেলা শিল্প কলা একাডেমিতে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার ৩ বছরের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি কর্মসূচি নিয়েছে।
সেই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় ভোজ্য তৈল ৪০থেকে ৫০ভাগ দেশেই উৎপাদন হবে। সেই লক্ষে অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। শুধু সরিষা, সোয়াবিন, সূর্যমুখি নয় তিল ও বাদাম থেকে তেল উৎপাদন করা হবে।
এর আগে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানিরা লবণাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো জাত আবিষ্কার করেছে। আমরা সেগুলো বরিশাল আনতে চাচ্ছি।
বরিশাল সহ খুলনা, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে কিভাবে সরিষার আবাদ বাড়ানো যায় সেই দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। সরিষার আমরা নতুন জাত পেয়েছি। আগে স্থানীয় জাত তরি দিয়ে উৎপাদন হত দুই থেকে তিন মন সরিষা। এখন এক বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাত মন সরিষা উৎপাদন করা যাবে।
কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।