শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

বন্ধ হয়ে গেছে যমুনা সার কারখানা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ির তারাকান্দিতে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। তবে গ্যাস সঙ্কটের কারনে গত ২১ জুন বন্ধ হয়ে যায় যমুনা সার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন। এর মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে সার উৎপাদন ও সরবরাহে অনিশ্চয়তায় পড়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

অল্প গ্যাসে তুলনামূলক বেশি সার উৎপাদন করতে পারে এই কারখানাটি। অন্যদিকে গুনগত মান ভালো হওয়ায় এই সারের চাহিদাও অনেক বেশি।

এই সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলারকে সার সরবরাহ করা হয়। কারখানা দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে আসন্ন বোরো-আমন মৌসুমে কারখানা কমান্ডিং এ্যারিয়ায় কৃত্রিম সার সঙ্কটের পাশাপাশি কৃষকদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছে সার ব্যবসায়ীরা।

সার ব্যবসায়ী ফারুক মাসুম তালুকদার বলেন, ‘এখন যদি কারখানা উৎপাদনে না যায় তাহলে আসন্ন বোরো মৌসুমে কৃষকদের সার সরবরাহ করতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। এতে করে ডিলাররাসহ কৃষকেরাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’

এছাড়াও কারখানা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক-কর্মচারী ও পরিবহন চালক।

কারখানা এলাকার ট্রাক চালক ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের রিযিক এই কারখানার উপর নির্ভরশীল। এখন এই কারখানা বন্ধ থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। অনেকে কারখানা ছেড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। সবাই তো আর কারখানা ছেড়ে চলে যেতে পারছে না। আমরা চাই এই কাখাানাটি দ্রত চালু হোক।’

তারাকান্দি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মানিক জানান, ‘কারখানাকেন্দ্রিক ৪২০টি ট্রাক রয়েছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে ৮৪০ জন চালক ও চালকের সহযোগী। ট্রাক মালিকরাও রয়েছেন। এছাড়াও এই কারখানার সাথে হাজারো শ্রমিক জড়িত। কারখানা বন্ধ থাকায় এরা সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছে।’

সার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন না কোন অযুহাতে যমুনা সার কারখানা বন্ধ রেখে দেশকে সার আমদানি নির্ভর করে তুলতে চাচ্ছে একটি অসাধু চক্র ।

এসকল বিষয়ে জানতে যমুনা সার কারখানায় গেলে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেননি কারখানার এমডি ইঞ্জি মোঃ জাকির হোসাইন। কারখানায় প্রবেশে সাংবাদিকদের জন্য জারি করা হয়েছে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা।

তবে মুঠোফোনে যমুনা সার কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আব্দুল হাকিম জানান, ‘যমুনা বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সকলেই। গ্যাস সংকট ও লোডশেডিং এর কারণে বন্ধ রয়েছে উৎপাদন। নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করা হলেই আবারো উৎপাদনে ফেরার আশা রয়েছে।’

গ্যাস সংকটের বিষয়ে তিতাস গ্যাসের বাল্ক কাস্টমার ম্যানেজার খাদেম কায়সার মুঠোফোনে জানান, ‘সর্বত্র গ্যাস সংকটের কারণে দেখা দিয়েছে এমন পরিস্থিতি। সংকট সমাধানের পর সরকার চাইলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করতে পারে যমুনা সার কারখানাকে। তখন যমুনা সার কারখানা আবার উৎপাদনে যেতে পারে।
১৭০০ মে.টন উৎপাদনক্ষম ইউরিয়া উৎপাদনকারী যমুনা সারকারখানায় প্রতিদিন ৪৫ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয় ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ