চলমান যুদ্ধের মধ্যেই কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে আবারও খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এ খবরে বিশ্ববাজারে গমের দাম ব্যাপক কমেছে। বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এতে রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধে সৃষ্ট খাদ্যসঙ্কট বিশ্ব কাটিয়ে উঠবে বলে আশায় বুক বাঁধা হচ্ছে।
তুরস্কের আঙ্কারাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দৈনিক ভিত্তিতে গমের দর হ্রাস পেয়েছে ৩ শতাংশের ওপরে। ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালানোর আগের অবস্থায় যা ফিরে গেছে। ওই দিন প্রতি বুশেল গম বিক্রি হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডলারে।
কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে ফের খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু করতে গত ২২ জুলাই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চুক্তি সই করে রাশিয়া-ইউক্রেন। এর মধ্যস্থতায় ছিল তুরস্ক ও জাতিসংঘ। গত ২ মাস ধরে এ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তারা।
এরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের ব্যাপক দরপতন ঘটে। এতে বিশ্ব খাদ্যসঙ্কট লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এ চুক্তির ফলে ইউক্রেনের প্রধান তিন বন্দর ওডেসা, চারনোমোর্স্ক ও উজনি দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে উল্লেখযোগ্য হারে খাদ্য রপ্তানির পথ খুলে গেছে।
একই অনুষ্ঠানে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া থেকে বাঁচাবে এই চুক্তি।
কাতারের দোহাভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫ মাস ধরে বন্দরগুলো অবরুদ্ধ রয়েছে। সেগুলোতে মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। এখন সেগুলো তুলে নেয়া হবে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুই খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। এ চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনীয় খাদ্যপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা জেগেছে। পাশাপাশি রুশ পণ্য রপ্তানিও বাড়ার আভাস মিলেছে।