জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৩ জুলাই) পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
এতে রাষ্ট্রপতি মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার (২২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা ৪টায় নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ফজলে রাব্বী। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়েসহ একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজলে রাব্বী। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করেন। এ সান্ধ্য আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। এ আন্দোলন দিয়ে আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত হন ডেপুটি স্পিকার। ওই সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা ছিলেন ফজলে রাব্বী। সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সপ্তমবারের মতো জয়ী হন ডেপুটি স্পিকার।