জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ জুলাই) বেলা ৪টায় নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ফজলে রাব্বী। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়েসহ একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজলে রাব্বী।১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করেন। এ সান্ধ্য আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। এ আন্দোলন দিয়ে আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত হন ডেপুটি স্পিকার। ওই সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা ছিলেন ফজলে রাব্বী। সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সপ্তমবারের মতো জয়ী হন ডেপুটি স্পিকার।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সদ্য প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়া ৩ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।