মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

বিএনপির রাজনীতি আর মাঠে নেই: তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২২

গ্রেপ্তার করেও অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিবাদ স্তব্ধ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে বিনা ওয়ারেন্টে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। কারণ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি-দু:শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তারা নিজেরাই নানা অনাচার-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেপ্তার, বাবার অপরাধে নাবালিকা সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে শিকলবন্দী করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি, সভা-সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছিল এবং তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।

আপোষহীন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেপ্তার করেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারাগারে থেকেই জননেত্রী যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন আর তার প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা জিল্লুর রহমান যেভাবে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন সেই কারণেই আমরা ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম এবং খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পর বিএনপি কোনো আন্দোলন করতে পারেনি, আমাদের আন্দোলনে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন।

বর্তমান রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। রাতের বেলায় বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, পার্টি করা, এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। আমি তাদের অনুরোধ জানাবো, রাতবিরাতে এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে দূতাবাসে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আপনারা জনগণের কাছে যান। এগুলো ২০১৪ সালেও করেছিলেন, ২০১৮ সালেও করেছিলেন, কোনো লাভ হয় নাই। এবারও কোনো লাভ হবে না।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল-আইএমএফ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৪১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ তালিকায় অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে মাত্র দু’টি দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আমাদের অর্থনীতি আরো ওপরের দিকে যাবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এইভাবে দেশ যখন এগুচ্ছে করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়েছে তখন বিএনপি এবং কিছু গোষ্ঠী প্রার্থনা করছে বাংলাদেশটা কেন শ্রীলঙ্কা হচ্ছে না কারণ তারা প্রয়োজনে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়।

স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ