তীব্র তাপদাহে নাজেহাল ইউরোপের জনজীবন। অতি গরমে গত মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত স্পেন ও পর্তুগালে অন্তত ৩২২ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার দেশে তাপদাহের তিনদিনেই ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ১০ থেকে ১২ই জুলাই পর্যন্ত মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র ছাড়িয়ে যাওয়াকে দায়ী করছে স্প্যানিশ সরকার। গত কয়েকদিন দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, স্পেনে তাপদাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে প্রাণহানি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
চলতি বছরে স্পেনে দ্বিতীয়বারের মতো তাপপ্রবাহ চলছে। প্রথম তাপপ্রবাহ গত ১১ থেকে ২০শে জুন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এতে স্পেনজুড়ে ৮২৯ জনের মতো লোকের মৃত্যু হয়। তখন ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দেশটিতে।
এই সময়ে মানুষকে সুস্থ থাকতে বার বার বিশুদ্ধ পানি পান করার পাশাপাশি ছায়াঘেরা স্থানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
শুষ্ক আবহাওয়া এবং তাপদাহে গত মঙ্গলবার থেকে পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তীব্র তাপের কারণে দেশটিতে গত কয়েকদিনে অন্তত ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম ইএফই জানিয়েছে, দুই দেশে গরমে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে দাবানল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে জরুরি বিভাগ।