শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক তানু: থানা থেকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : জুলাই ১১, ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার জাগোনিউজ২৪.কমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু । শনিবার (১০ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তানুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাত ১টার  দিকে থানা হাজতে তানুর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে পাঠান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম।

তানুর স্বজনরা জানান, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এ রোগ থেকে সুস্থ হন তানু। তবে এখনো তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছেন। তাকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক তানু হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। বিষয়টি দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে জানালে আমি তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই।

তানু ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বরাদ্দের বিপরীতে রোগীর খাবার পরিবেশনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তানুসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা দায়ের করা হয়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজের দায়ের করা এ মামলায় তানু ছাড়া বাকি যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভ।

এদিকে তানুকে গ্রেফতারের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মুক্তির দাবিতে এবং মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা। তারা তানুর মুক্তি ও সাংবাদিকদের নামে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর প্রতিবাদলিপিসহ বিভিন্নভাবে অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। কিন্তু এ ধরনের কোনো পন্থায় না গিয়ে সরাসরি সাংবাদিকের নামে মামলা করে তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে।

যা ছিল সেই প্রতিবেদনে
যে প্রতিবেদনের জেরে সাংবাদিক তানুকে মামলায় আসামি করা হয়েছে, সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “দিনে বরাদ্দ ৩০০ হলেও করোনা রোগীদের খাবার দেয়া হচ্ছে ৭০ টাকার!”

৫ জুলাই বিকেলে জাগোনিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, একজন করোনা রোগীর প্রতিদিনের খাবারের জন্য ৩০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ থাকলেও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে একজন রোগীকে তিনবেলা যে খাবার দেয়া হচ্ছে, তার বাজারমূল্য ৭০-৮০ টাকার বেশি নয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলমূল দেয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছেন না রোগীরা। ফলে বেশিরভাগ রোগীকেই বাড়ির খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। খাবার সরবরাহে করোনা ইউনিটে দর্শনার্থীর আনাগোনায় সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।

জাগো নিউজের অনুসন্ধানে দেখা যায়, (প্রতিবেদন প্রকাশের আগে) ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ১৭৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের সকালের নাশতায় দেয়া হচ্ছে একটি করে পাঁচ টাকা দামের পাউরুটি, আট টাকা দামের ডিম ও চার-পাঁচ টাকা দামের কলা। দুপুরের খাবারে দেয়া হচ্ছে ডাল, একটি ডিম অথবা এক টুকরো মাছ এবং রাতের খাবারেও ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ অথবা একটি ডিম। বর্তমান বাজারদরে তিন বেলার খাবারের দাম হিসাব করলে দাঁড়ায় ৭০-৮০ টাকা। রোগীদের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত ফলমূল দেয়ার কথা থাকলেও সেগুলো দেয়া হচ্ছে না।

রোগীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুলের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সাংবাদিক তানু। তখন ডা. নাদিরুল বলেন, ‘ঠিকাদার যেভাবে খাদ্য সরবরাহ করছেন সেভাবেই করোনা রোগীকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ