সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে শনিবার (৯ জুলাই) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এসব গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের পীর বাড়ির সাদ্রা সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন,শনিবার সৌদি আরবে ঈদ। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ উল্লাহ জানান, সাদ্রা দরবার শরীফের তৎকালীন পীর মাও. ইসহাক আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা রাখাসহ দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে ১৯২৮ সাল থেকে একদিন আগে এ প্রথা চালু করলেও এখন ৪০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দেশের নিয়মের বাইরে অর্থাৎ একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
সাদ্রা ছাড়াও জেলার ৪০টি গ্রামের একাংশে ওই পীরের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করেন।
গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এছাড়া চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।