যানজট এড়াতে মহাসড়কের পাশে যে সকল কোরবানি পশুর হাট রয়েছে তার পরিসর যেন কোনোভাবে বেড়ে না যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক নজরদারি করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৮ জুন) সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহবান জানান।
এ সময় জরুরি এবং রফতানি পণ্য ছাড়া ট্টাক-কাভার্ড ভ্যান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালনা বন্ধ রাখারও আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
এবারের ঈদে সরকারি ছুটি কম থাকায় প্রায় একই সময় কয়েক লাখ মানুষ নাড়ির টানে গ্রামে যাচ্ছে। পাশাপাশি পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু মানুষ এবার গ্রামে যাওয়ার অভিযাত্রায় সামিল হয়েছে। এমতাবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে সাবধানতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর জন্য সকল চালকের প্রতি আহবান জানান।
জীবনের প্রতি মায়া রেখে, জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মহাসড়কে নিয়ম মেনে যাতায়াত করার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।’
এবারের ঈদ যাত্রায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, তাই সামান্য উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই পরিবহনে, ঈদের ছুটিতে ও ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরিধান এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সামান্য অবহেলা পুরো পরিবারের অপরিমেয় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সকলকে মাস্ক পরিধানসহ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ধীরে চলায় এবং পথিমধ্যে নষ্ট হওয়ায় কোথাও স্বল্প সময়ের জন্য যানজট ধীরগতি হচ্ছে। এ জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গাড়ির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পরিবহন, মালিক – শ্রমিকসহ সকলকে নিজ নিজ প্রয়াস জোরদারের মাধ্যম ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করারও আহবান জানান।