রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

আরও অতিভারি বর্ষণের আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২১

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২৮ জুলাই) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে চট্টগ্রামে বিভাগে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। আরও অতিভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ফলে শঙ্কা বড়ছে।

টেকনাফে ১৯৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১২৯ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১১২ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১০৭ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। বিভাগের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হয়েছে।

এছাড়া বরিশালের পটুয়াখালীতে ১৯০ মিলিমিটার, খেপুপাড়ায় ১২১ মিলিমিটার; খুলনার মোংলায় ১২৩ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হলেই তাকে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (> ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।

অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমিতে উঠে যেতে পারে।

শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ বৃষ্টিপাত প্রবণতা হ্রাস পাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ