শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

১৮ বছর থেকেই টিকা দিতে জাতীয় কমিটির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২১
ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি দেশে টিকা প্রদানের বয়স আঠারো বছর করার পরামর্শ দিয়েছে। বুধবার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় কমিটি।

পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমদের দেশে বিভিন্ন উৎস থেকে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। আবারও সারাদেশে একযোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে কমিটি। এই টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনার উদ্দেশে টিকার বয়সসীমা ১৮ তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে টিকার আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

 

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আসন্ন ঈদ-উর আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাট বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। লকডাউনের অংশ হিসেবে কমিটি কোরবানির হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাব করে প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু শর্ত বেধে দিয়েছে কমিটি।

সেগুলো হলো—শহর এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি না দেওয়া। শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া। বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছরের বেশি বয়সী) এবং অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোরবানির হাটে না যাওয়া। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে আলাদা পথ রাখা। বাজারে আসা সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা। জনসাধারণকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করার বিষয়ে উৎসাহিত করা। জনসাধারণের অনলাইন কোরবানির হাটের সুবিধা গ্রহণ উৎসাহিত করা। বাড়ির আঙিনায় কুরবানি না করে, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা। ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত যেভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনভাবে ঈদ-উল-আজহার জামাত আয়োজন করা।

 

কমিটি বলছে, সারাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি চলমান কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

 

এতে আর বলা হয়, সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে, যা সন্তোষজনক। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পূর্ববর্তী সভার সুপারিশের প্রেক্ষিতে বেসরকারি পরীক্ষার মূল্য পুনরায় নির্ধারণ করায় সভায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ