দেশে কয়েক দিনের টানা বর্ষনে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের আট জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এতে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থিতিশীল থেকে তারপর ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৭ দিনে আপাতত ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। তবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৭ দিনে আপাতত গঙ্গা নদীর অববাহিকায় বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। তবে রাজবাড়ী এবং মানিকগঞ্জ জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পারে। তবে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা শুক্রবার (০৯ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী একই সময় পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি স্টেশনের মধ্যে পানির সমতল বৃদ্ধি পয়েছে ৬৬টিতে। কমেছে ৩৭টিতে। পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে পাঁচটি স্টেশনে। একটিতে এখনও তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়নি।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে।
শুক্রবার নাগাদ তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।