সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর)। এক্ষেত্রে রাত ১২টার মধ্যে প্রচার, সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের বিষয়টি অবহিত করবেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনানুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টায়। তাই প্রচার বন্ধ করতে হবে মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ১১৫টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এসব ইউপির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৪ হাজার ৭৫ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৩ হাজার ৩১০ জন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৯ হাজার ৪৯৮ জন। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৯ হাজার ১৬১ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৭৬ জন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৩০ হাজার ৮৮৩জন প্রার্থী। বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে রয়েছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২০৩ জন প্রার্থী।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৭টি দল অংশ প্রার্থী দিয়েছে। দলগুলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কংগ্রেস, জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাসদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি।